পরিবেশের ইতিহাসের গুরুত্ব কি

পরিবেশের ইতিহাসের গুরুত্ব কি 

নতুন সামাজিক ইতিহাসের অন্যতম শাখা রূপে পরিবেশের ইতিহাস চর্চার মানুষকে উপযুক্ত সচেতন করে তোলা 

২. রাওলাট আইন সম্বন্ধে কি জানো 

১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে দশই মার্চ ভারত সরকার রাওলাট আইন পাস করে । এই আইনে পাশ করার উদ্দেশ্যে রাজদ্রোহিতা ও বৈপ্লবিক  কার্যকলাপের প্রকৃতি ও প্রসার নিরূপণ করে তাকে দমন করার জন্য ভারত সরকার সিডনি কয়টি নামে একটি কমিটি গঠন করে। বিচারপতি স্যার সিডনি রাওলাট ছিলেন এই কমিটির সভাপতি। রাওলাট আইনের প্রকৃত নাম সন্ত্রাসমূলক ও বৈপ্লবিক অপরাধ আইন। 

রাওলাট আইনের দ্বারা সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ, সন্দেহভাজন যেকোনো ব্যক্তিকে বেন্না পরোয়ানায় গ্রেপ্তার, বিনা বিচারে আটক রাখা, বিশেষ আদালতে বিনা সাক্ষ্য প্রমাণে বিনা স্বাক্ষর প্রমাণে বিশেষ আদালতে বিচার করে শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা হয়। এই আইনের দ্বারা ভারতবাসীর ব্যক্তি স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নেওয়া হয়।সারাদেশে এই ঘটনার প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ইংরেজদের দেওয়া নাইট উপাধি ট্যাগ করে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান। 

৩. জালিয়া নাবাগের হত্যাকান্ড সম্বন্ধে কি জানো 

১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ১৩ এপ্রিল রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবার জন্য পাঞ্জাবের অমৃত শহরের জালিওনা বাঘের নামে একটি উদ্যানে এক সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রায় ১০ হাজার লোক সেখানে সমবেত হয়।। সভা চলাকালে অমৃতসরের সামরিক শাসনকর্তা জেনারেল মাইকেল  ও ডায়ার এক বিরাট সেনাদলের সাহায্যে নিরস্ত্র জনতার উপরগুলি বর্ষণ করেন। সরকারি আইন অনুযায়ী ও হিসাব অনুযায়ী এই ঘটনায় ৩১৯৮০ জন নিহত হন ও 12 জন আহত হয়।কিন্তু বেসরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা ছিল সহস্রাধিক। 

৪. চৌরিচৌরার ঘটনা কি 

অহিংস অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ৫ই ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশে গরু জেলার অন্তর্গত  চৌরিচৌরা নামক স্থানে পুলিশের অত্যাচারে উত্তেজিত হয়ে আন্দোলনকারীরা নিকটবর্তী থানায় আগুন লাগালে ২২ জন পুলিশ অগ্নিগ্ধ হয়ে মারা যায়। আন্দোলনকারীদের এই হিংসাত্মক আচরণকে গান্ধীজী মর্মাপ হত হন,তিনি মনে করেন অহিংস্র আন্দোলন আদর্শ যুক্ত হয়েছে। এই কারণে চৌরিচৌরার ঘটনার পরিপেক্ষিতে তিনি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। 

৫. স্বরাজ পার্টি কবে গঠিত হয় এই পার্টির  বিখ্যাত নেতার নাম লেখ

১৯২১ খ্রিস্টাব্দে রাজ্যে স্বরাজ পার্টি গঠিত হয় 

 নেতার নাম হল নেহেরু চিত্তরঞ্জন দাস। 

৬. চম্পারন সত্যাগ্রহ সম্বন্ধে কি জানো 

১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে বিহারের চম্পারন নামক ফানি নীল চাষীদের উপর অত্যাচারের সংবাদ পেয়ে গান্ধীজী চম্পারন সত্যাগ্রহ শুরু করেন। এই সত্যাগ্রহ আন্দোলনের জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আন্দোলন প্রবল হয়ে উল্লেখ গান্ধীজিকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং কৃষকদের দাবি পূরণ করা হয়। 

৭. অসহযোগ আন্দোলনের প্রধান কর্মসূচি কি ছিল 

অসহযোগ আন্দোলনের প্রধান কর্মসূচি ছিল 

এক) সরকারি সুতো কাটা 

২) মাদকদ্রব্য বর্জন 

৩) আত্মৃশ্যতা দূরীকরণ 

৪) বিদেশি পণ্য বর্জন 

৫) বিদেশি খেতাব বর্জন 

৬) সকল ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরশীল হওয়া 

৮. অসহযোগ আন্দোলনের ফলে কি কি সুফল দেখা যায় 

অসহযোগ আন্দোলনের ফলে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। 

তর কাকে কেন্দ্র করে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হয়। বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় জাতীয় আন্দোলনের পুরো ভাগে এগিয়ে আসার ফলে ভারতের রাজনৈতিক আন্দোলনের শক্তি ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।